বুধবার, ৭ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল, কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন খর্ব করলেন ভারতের প্রেসিডেন্ট
৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল, কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন খর্ব করলেন ভারতের প্রেসিডেন্ট
পি কে বালাচন্দ্রন
পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার তাদের প্রধান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যগুলো হাসিলের জন্য যেন ব্যাপক তাড়াহুড়ার মধ্যে রয়েছে।
সর্বসাম্প্রতিক এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হলো ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের জন্য প্রেসিডেন্টের আদেশ, যেখানে মুসলিম সংখ্যাগুরু জম্মু ও কাশ্মীর (জেঅ্যান্ডকে) রাজ্যের স্বায়ত্বশাসন নিশ্চিত করা হয়েছে।
সোমবার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে প্রেসিডেন্টের আদেশ অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পার্লামেন্টে যেহেতু সরকারের সার্বিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে এবং যেহেতু তারা দক্ষতার সাথে পার্লামেন্ট ব্যবস্থাপনা আয়ত্ব করেছে, তাই আগেই যেন বোঝা গিয়েছিল যে প্রেসিডেন্টের আদেশ অনুমোদিত হবে।
রাজ্য হারানো
কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসনের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয়ার পর শাহ ঘোষণা দেন যে, জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা হারিয়েছে এবং এখন থেকে এটা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন ইউনিয়ন অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তাদের স্বায়ত্বশাসনের মাত্রা থাকবে খুবই সীমিত। জম্মু ও কাশ্মীর দুটো ভাগে বিভক্ত হবে। একটি অংশে থাকবে জম্মু জেলা ও কাশ্মীর উপত্যকা, অন্য অংশে থাকবে লাদাখ।
কাশ্মীরী নেতাদের গ্রেফতার এবং সেখানে ৩০,০০০ সেনা মোতায়েনের পর এই অঞ্চলটিতে আগাম রাজ্য নির্বাচন - যেটা সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে হবে বলে মনে করা হয়েছিল, সেটার সম্ভাবনা কমে গেছে। এই রাজ্য বর্তমানে কেন্দ্রের অধীন এবং এখানে গভর্নরের শাসন চলছে।
অনুচ্ছেদ ৩৭০
অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ভারতের সাথে জম্মু ও কাশ্মীর যুক্ত হওয়ার পর থেকে এটা জরুরি ছিল যাতে এই রাজ্যের স্বায়ত্বশাসন নিশ্চিত করার জন্য সংবিধানে কিছু ‘ইন্সট্রুমেন্ট অব অ্যাকসেশান’ সংক্রান্ত বিশেষ অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়। যখন মূলত ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভক্ত হয়, তখন একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগুরু রাজ্য ছিল জম্মু ও কাশ্মীর এবং সে কারণে রাজ্যটি মূলত আংশিকভাবে ভারতের সাথে যুক্ত হয়েছে।
ইন্সট্রুমেন্ট অব অ্যাকসেশান অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীর শুধুমাত্র তিনটি বিষয় ভারত সরকারের কাছে সমর্পণ করেছে। সেগুলো হলো প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ ও পররাষ্ট্র সম্পর্ক। কাশ্মীরের জন্য আলাদা সংবিধানের প্রসঙ্গ ছিল এবং ওই সংবিধান প্রণয়নের জন্য আলাদা অ্যাসেম্বলি গঠনের কথা ছিল।
সেই অনুযায়ী সাংবিধানিক অ্যাসেম্বলি গঠন করে আলাদা সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। কাশ্মীরের সংবিধান প্রণয়নের পর, ওই কন্সটিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি বিলুপ্ত করা হয়।
ভারত ইন্সট্রুমেন্ট অব অ্যাকসেশান গ্রহণ করার পর গভর্নর জেনারেল লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন বলেছিলেন: “আমাদের সরকারের ইচ্ছা হলো কাশ্মীরের আইন শৃঙ্খলা বহাল হওয়া মাত্রই, কাশ্মীরের মাটি হামলাকারীদের (পাকিস্তানি উপজাতী) হাত থেকে মুক্ত হওয়া মাত্রই রাজ্যের সংযোজনের বিষয়টি জনগণের গণভোটের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে”।
মাউন্টব্যাটেন গণভোটের যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সেটা ভারতের নেতারা পার্লামেন্টে বেশ কয়েকবার উত্থাপন করেছিলেন। তাদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও ছিলেন।
ইন্সট্রুমেন্ট অব অ্যাকসেশানকে ভারতীয় সংবিধানের অংশ ঘোষণা করা হয় যাতে ভারত সরকার ও ভারতীয় পার্লামেন্টের সাথে সাথে কাশ্মীরের ক্ষমতাও পরিস্কারভাবে চিহ্নিত করা থাকে। ৩৭০ অনুচ্ছেদে দুই পক্ষের বিতর্কিত অধিকার ও বাধ্যবাধকতাগুলোর প্রতিফলন ঘটেছে বলে যুক্তি দেন হায়দ্রাবাদের নালসার ইউনিভার্সিটি অব ল’-এর ফায়জান মুস্তাফা।
অস্থায়ী না কি স্থায়ী?
৩৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে এই সংযোজন অস্থায়ী এবং অন্তর্বর্তীকালীন। তবে প্রফেসর মুস্তাফার মতে, এটা অস্থায়ী কারণ সংযোজনের বিষয়টি চূড়ান্তভাবে গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারণের কথা ছিল।
প্রফেসর মুস্তাফা যুক্তি দেন যে, সংবিধানের একটা অনুচ্ছেদকে ‘অস্থায়ী’ বলার অর্থ এই নয় যে, সেটা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেভাবেই থাকতে পারবে। তিনি উল্লেখ করেন যে, রিজার্ভেশান ফর দ্য শিডিউল কাস্টস আর উপজাতীদের বিষয়টিও অস্থায়ী হিসেবে বর্ণনা করা ছিল। একই রকম ছিল অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে ইংরেজি ব্যবহারের বিষয়টিও। কিন্তু দুটোই পরে অব্যাহত থেকেছে।
কেন্দ্রের আইন জম্মু ও কাশ্মীরে প্রয়োগের বিষয়টিও ইন্সট্রুমেন্ট অব অ্যাকসেশানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যেখানে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘কনসালটেশান’ এবং ‘কনকারেন্স’কে একত্রিত করা হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরকে সংবিধানে ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেয়া হয়েছিল, কিন্তু এ ধরনের মর্যাদাপ্রাপ্ত রাজ্য আরও রয়েছে।
“৩৭১এ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নাগাল্যান্ডের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে এবং পার্লামেন্টের কোন বিলই নাগাল্যান্ডের আইনসভায় অনুমোদিত না হলে সেটা ওই রাজ্যে প্রযোজ্য হবে না। এ ধরনের বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ধর্ম সংক্রান্ত বিষয়, নাগাদের সামাজিক আচার, নাগা ঐতিহ্যগত আইন এবং আচরণবিধি, এখানকার জমি ও সম্পদের মালিকানা ও হস্তান্তর সংক্রান্ত বিষয়গুলো। এমনকি নাগাল্যান্ডের সিভিল ও অপরাধ বিচার প্রশাসনও ভারতীয় আইনের আওতামুক্ত। তাই, ভারতের পেনাল কোড, কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ইত্যাদি আইনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগাল্যান্ডের জন্য প্রযোজ্য নয়”।
“একইভাবে ৩৭১ অনুচ্ছেদের অধীনে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটের জন্যও বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এই অনুচ্ছেদের অধীনে প্রেসিডেন্ট (মহারাষ্ট্রের) বিদর্ভা ও মারাথওয়াদা এবং (গুজরাটের) সাউরাষ্ট্র ও কুচের জন্য আলাদা বোর্ড গঠনের জন্য, এই এলাকাগুলোতে সমমাত্রায় তহবিল বিতরণের জন্য দুই রাজ্যের গভর্নরদের বিশেষ দায়িত্ব দিতে পারেন”।
মুস্তাফা আরও উল্লেখ করেন, “আরও বহু রাজ্যের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে আসাম (অনুচ্ছেদ ৩৭১বি), মনিপুর (অনুচ্ছেদ ৩৭১সি), অন্ধ্র প্রদেশ (অনুচ্ছেদ ৩৭১ ডি ও ই), মিজোরাম (অনুচ্ছেদ ৩৭১জি), অরুণাচল প্রদেশ (অনুচ্ছেদ ৩৭১ এইচ) এবং গোয়া (অনুচ্ছেদ ৩৭১আই)। সিকিমের ক্ষেত্রে এমনকি সুপ্রিম কোর্টের আদেশ নিষেধের কার্যকারিতা পর্যন্ত সীমিত করা আছে”।
অব্যাহত ক্ষয়প্রাপ্তি
চুক্তির বিশুদ্ধতা লঙ্ঘন করে ভারত সরকার অব্যাহতভাবে প্রেসিডেন্টের আদেশের মাধ্যমে ৩৭০ অনুচ্ছেদের পরিবর্তন করে গেছে।
মুস্তাফা বলেন, “১৯৫৪ সালে প্রেসিডেন্টের আদেশের মাধ্যে প্রায় পুরো সংবিধানই (অধিকাংশ সাংবিধানিক সংশোধনীসহ) জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য সম্প্রসারিত করা হয়েছে। ইউনিয়ন লিস্টের ৯৭টি পয়েন্টের মধ্যে ৯৪টিই এখন জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য প্রযোজ্য। সংবিধানের ৩৯৫টি অনুচ্ছেদের মধ্যে ২৬০টি অনুচ্ছেদই এই রাজ্যের জন্য এখন প্রযোজ্য। একইভাবে ভারতীয় সংবিধানের ১২টি শিডিউলের মধ্যে সাতটি এরই মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়েছে”।
৩৫এ অনুচ্ছেদ কি?
১৯৫৪ সালে প্রেসিডেন্টের আদেশের মধ্য দিয়ে সংবিধানে ৩৫এ অনুচ্ছেদটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যেখানে জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরিকদের বিশেষ অধিকার ও সুবিধা দেয়া হয়েছে। এটাকে ৩৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই ৩৫এ অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করার মূল উদ্দেশ্য হলো রাজ্যকে অভিবাসী থেকে মুক্ত রাখা এবং বাইরের ক্রেতারা যাতে এখানকার চাকরি এবং অন্যান্য সুবিধা দখল করতে না পারে এবং এখানকার জাতিগত ও ধর্মীয় পরিস্থিতি যাতে বদলে দিতে না পারে।
সে কারণে ৩৫এ অনুচ্ছেদে কোন নারী বাইরের কোন পুরুষকে বিয়ে করলে তাকে রাজ্যের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছে। এই নিয়মটির অধীনে এই ধরনের নারীরা রাজ্যে অধিকার হারাবে এবং তাদের উত্তরাধীকারীরাও ওই সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবে।
এই অনুচ্ছেদ অনুসারে বাইরের কোন ব্যক্তি রাজ্য থেকে স্থানান্তর অযোগ্য কোন সম্পত্তি কিনতে পারবে না, সেখানে স্থায়ী বসতি গড়তে পারবে না, বা সেখানে রাষ্ট্র কর্তৃক ঘোষিত কোন স্কলারশিপ সুবিধা পাবে না। এই আইনের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার বাইরে থেকে জনবলও ভাড়া করতে পারবে না, যারা এখানকার অধিবাসী নয়।
আপত্তি
৩৫এ অনুচ্ছেদ নিয়ে দুটো আপত্তি রয়েছে। একটি হলো এটা বৈষম্যমূলক এবং অন্যটি হলো এটা পার্লামেন্টের মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত হয়নি বরং প্রেসিডেন্টের আদেশের মধ্য দিয়ে হয়েছে।
৩৫এ একমাত্র অনুচ্ছেদ নয়, যেটা প্রেসিডেন্টের আদেশের মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত হয়েছে এবং যেটা পার্লামেন্টে উত্থাপিত হয়নি। প্রফেসর মুস্তাফা উল্লেখ করেন যে, প্রেসিডেন্টের আদেশ ব্যবহারের কারণে ৩৭০ অনুচ্ছেদ অব্যাহতভাবে ক্ষয়ে গেছে।
১৯৫৪ সালে প্রেসিডেন্টের আদেশের মাধ্যে প্রায় পুরো সংবিধানই (অধিকাংশ সাংবিধানিক সংশোধনীসহ) জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য সম্প্রসারিত করা হয়েছে। ইউনিয়ন লিস্টের ৯৭টি পয়েন্টের মধ্যে ৯৪টিই এখন জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য প্রযোজ্য। সংবিধানের ৩৯৫টি অনুচ্ছেদের মধ্যে ২৬০টি অনুচ্ছেদই এই রাজ্যের জন্য এখন প্রযোজ্য। একইভাবে ভারতীয় সংবিধানের ১২টি শিডিউলের মধ্যে সাতটি এরই মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হয়েছে। এই বিষয়গুলোকে যখন অধিকার মনে করা হচ্ছে, সে অবস্থায় প্রেসিডেন্টের আদেশে ৩৫এ অনুচ্ছেদের অন্তর্ভুক্তিকে কোনভাবেই ভুল বলা যাবে না।
দমনাভিযানের মধ্যে ঐক্য
এদিকে দিল্লি যখন কাশ্মিরের প্রধান দলগুলোর নেতাদের উপর দমন অভিযান জোরদার করেছে তখন তারা রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা রাক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালানোর অঙ্গীকার করেছেন। সরকার রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তের নোটিশ পাঠিয়েছে।
কার্ফু দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ায় আতংক দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল ও জরুরি সেবা সংস্থাগুলোর প্রধানরা তাদের স্টাফদের জন্য কার্ফু পাস চেয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠালেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
সিনিয়র অফিসারদের জন্য স্যাটেলাইট ফোন বরাদ্দের কারণে আশংকা করা হচ্ছে মোবাইল ফোন ও ইন্টানেটের উপর নজিরবিহীন ব্লাকআউট আসছে।
রাজ্যের নেতাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী অর্থায়নের অভিযোগে দমন অভিযানের কারণে নেতৃত্ব কার্যত পঙ্গু হয়ে পড়ছে। ভারত-পন্থী নেতাদেরও দমনে নেমেছে সরকার। রোববার মেহবুবা মুফতি ও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার রাশিদ ওই তালিকায় যুক্ত হয়।
রাজ্যের দুর্নীতি দমন ব্যুরো মেহবুবার আমলে জম্মু-কাশ্মির ব্যাংকে কথিত অবৈধ নিয়োগের জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজিন্সি রশিদকে দিল্লি ডেকে পাঠিয়েছে।
মেহবুবা অভিযোগ করেন যে মূল ধারার নেতাদের ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে যেন তারা সম্মিলিতভাবে কোন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারেন।
এরই মাঝে মূলধারার সব নেতা এক হয়ে রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা রক্ষার ব্যাপারে একটি প্রস্তাব পাস করেছেন।
ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে: যেকোন আক্রমণ, হামলার বিরুদ্ধে জম্মু-কাশ্মিরের পরিচয়, স্বায়ত্তশাসন এবং বিশেষ মর্যাদা রক্ষা ও সমর্থনের ব্যাপারে সকল দল ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
রোববার এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রেসিডেন্ট ফারুক আব্দুল্লাহ। এতে যোগ দেন ওমর আব্দুল্লাহ, মেহবুবা, পিপলস কনফারেন্সে নেতা সাজ্জাদ লোন, সিপিএমের ইউসুফ তারিগামি, আইএএস টপার থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়া শাহ ফয়সাল ও কংগ্রেস নেতারা।
দলগুলো প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও অন্য দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চেয়েছে।