শুক্রবার, ৯ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » রাজনীতি » মানুষ সামাজিক কাজগুলোই অংশগ্রহণ করতে চায় না সবাই অংক কষে
মানুষ সামাজিক কাজগুলোই অংশগ্রহণ করতে চায় না সবাই অংক কষে
সাবিনা আক্তার তুহিনের আত্ম জিজ্ঞাসা–
ঘুম নেই চোখে কতটুকু করতে পারলাম জনগনের জন্য ভাবনাটা সেখানে ।এডিশ মশা নিধন করে ও যেন এলাকা পরিস্কার করতে পারছি না ,কি করে পারবো আজ নিজেই দেখলাম যে রাস্তা পরিস্কার করে আসলাম সেই রাস্তায় বহুতল বিল্ডিং থেকে একব্যাগ আবর্জনা ধপাস করে খালি প্লটে ফেলা হলো ।আচ্ছা আমরা নিজেরাই তো নিজেদের ক্ষতির জন্য দায়ী কারন আমরা রাস্তা নোংরা করি, নিজেরা নোংরা থাকি ।আমরা মেয়রদের অতিকথনে দোষী বলি এবং কার্যকর ঔষধের উপর ও গুরুত্ব দিবো কিন্তু তারপর ও কি আমরা এ অবস্হা থেকে মুক্তি পাবো ?সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এ থেকে মুক্তি পেতে হলে ।আমরা কেবল ডেঙ্গু কেনো আজ যে রাস্তায় মৃত্যুর মিছিল সড়ক দুর্ঘটনায় হয় তারজন্য ড্রাইভাররা যেমন দোষী আমরা কি দোষী নই ?
আমরা কি ওভারব্রিজ ব্যবহার করি ?আমরা ফোনে কথা বলে রাস্তায় কোন নিয়ম না মেনে ও পারাপার হই তা কি আদৌ সঠিক ?মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলেন ডেঙ্গু নিধনে মাঠে থাকতে ।নেত্রীর নির্দেশে একদল মানুষ জনগনের কল্যানের জন্য মাঠে নামলো কিন্তু সে অর্জন প্রশ্ন বিদ্ধ করলো একদল চাটুকার যারা কেবলই লোক দেখানোর জন্য মিডিয়ায় আসার জন্য হাস্য রসের সৃষ্টি করেছে ।সত মানুষগুলো সর্বত্র কোনঠাসা চাটুকারদের জন্য ।ঈদ আসলে মনে টেনশন থাকে তৃনমূলের সাধারন কর্মীরা কি করে ঈদ করবে ,তৃনমূলের আর আমার এলাকার দরিদ্র মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি কিন্তু মনে কখন ও পরিপূর্ন তৃপ্তি আসে না মনে হয় আর ও করার ছিলো ,তাই উৎসবগুলো একসময় আমার কাছে হয়ে উঠে বেদনার । এই পৃথিবী খুব অল্পদিনের তাই আশপাশের মানুষের দিকে ফিরে দেখো ,তাদের ও মন আছে সকলের আনন্দের অধিকার আছে তাই যাদের আছে তাদের না দিয়ে দরিদ্র আর যে মানুষগুলো হাত পাততে পারে না তাদের ছোট উপহার ও খুশী করবে ।তেলের মাথায় আজকাল তেল দেয়া হয় কিন্তু লাভ কি হয় সে কি তার মূল্য দিবে ?সব কিছু তে এখন ফাঁকিবাজি লোক দেখানো হয়ে গেছে ।দলের সভানেত্রী নির্দেশ দিলেন মন দিয়ে করতে হবে তিনি আরও বললেন কার এলাকায় কতটুকু কাজ হয়েছে দেখবো ।আমার প্রশ্ন এলাকার নেতারা যখন মাঠে থাকে না তখন কর্মীরা কি করবে ?
আগে রাজনীতিতে দেখতাম মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রম করে ইলেকশন আসলে প্রতিটি কর্মী ডোর টু ডোর কাজ করে কিন্তু এখন তা আর দেখি না কয়েকটা ছবি ফেসবুকে আপলোড করেই কাজ শেষ লাইক কমেনটস এ সব যেনো গেছে রসাতলে ।মানুষ সামাজিক কাজগুলো আগের মত আর অংশগ্রহণ করতে চায় না সবাই যেনো সব কিছুতে অংক কষে ।আজকাল টাকা দিয়ে ডিগ্রী ও হয় কিন্তু নজরুলের বড় বড় ডিগ্রী ছিলো না কিন্তু মিথ্যের আশ্রয় নেই নাই তার পুঁথিগত বিদ্যা কম ছিলো কিন্তু জ্ঞানের ভান্ডার ছিলো বলে ডিগ্রী নিতে আজ নজরুলের সৃষ্টি থেকে জ্ঞান অর্জন করি ।মিথ্যার চাইতে সত্য অনেক শক্তিশালী ,অনেকে লোকের জ্ঞান নিজের নামে ছাড়ে কিন্তু নিজের কাছে কি সে সম্মানী ?আমাকে একদিন একজন সংসদ সদস্য হওয়ার পর বললো আপা আপনার সংসদের বক্তৃতা আমি লিখে দিবো আমাকে কিছু টাকা দিলেই হবে ,আমি তখন বলেছিলাম আমি যদি ভুল করি সেখান থেকে শিক্ষা নিবো কিন্তু অন্যের লেখা নিজের বলে চালাবো না ।আমাদের অনেক কিছু এখন ও শিখার আছে আর তা হলো সততা যে কোন কাজে সততা জরুরী এবং পরিশ্রম মানুষ কে গন্তব্য নিয়ে যায় তাই সব কিছুতে মিথ্যা না সত্যই সুন্দর ।