বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » যে ১০৭ নেতার বিদেশ ভ্রমণে নিষে’ধাজ্ঞা
যে ১০৭ নেতার বিদেশ ভ্রমণে নিষে’ধাজ্ঞা
যুবলীগের ঢাকা উত্তর দক্ষিণের একাধিক শী’র্ষনেতাসহ অন্তত ১০৭ ব্যাক্তির বিদেশ গমনের ওপর নিষে’ধাজ্ঞা জা’রি করা হয়েছে। সরকারের একা’ধিক গো’য়েন্দা সং’স্থার সূ’ত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। সং’শ্লিষ্ট সূ’ত্রগুলো বলছে, তাদের বি’রুদ্ধে আসা বিভিন্ন অ’ভিযোগগুলো সু’ষ্ঠু ত’দন্তের স্বা’র্থে এবং তারা যেন ত’দন্ত এড়ি’য়ে বিদেশ চ’লে যেতে না পারে সেজন্যই এই ধরনের ব্য’বস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তারা যেন এখন বিদেশে না যায়।
*দায়ি’ত্বশীল সূ’ত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ সেপ্টেম্বর যখনি যুবলীগের বিভিন্ন নে’তার বিরু’দ্ধে সুনি’র্দিষ্ট অভি’যোগ উত্থাপন করেন তখনই ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ বিদেশ চ’লে যেতে চেয়েছিলেন। তাকে একাধিক আইনপ্র’য়োগকারী সং’স্থা জানিয়েছে, বিদেশ যাওয়া তার পক্ষে সম্ভ’ব নয়। তাকে বিমানবন্দর বা যেকোন সীমান্ত এলাকায় আ’টক করা হতে পারে। এরপরই তিনি আর বিদেশে না গিয়ে বাসায় অবস্থা’ন করেন। একইভাবে আরো কয়েকজন ব্যক্তিকেও এই নি’র্দেশ জা’রি করা হয়েছে। তার যেন এখন বিদেশ যেতে না পারে সে ব্যাপারে কঠো’র নি’র্দেশ রয়েছে আই’নশৃঙ্খলা বা’হিনীতে।
*শুধু যুবলীগ নয়, ছাত্রলীগের অব্যা’হতি পাওয়া সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্তত ৩০ জনের বেশি নে’তার বি’রুদ্ধে বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষে’ধাজ্ঞা আ’রোপ করা হয়েছে। তারা যেন বিদেশ না যায় সেই জন্য প্রয়োজ’নীয় নির্দে’শনা সংশ্লি’ষ্ট স্থানে দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগ ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবকলীগ এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃ’বৃন্দর বিদেশ যাওয়ার ব্যাপার নিষেধা’জ্ঞা জা’রি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের ভিতরে যারা অ’পকর্ম করছে। আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে টেন্ডা’রবাজি, চাঁ’দাবাজি, সন্ত্রা’সসহ নানা রকম অ’নৈতিক কর্মকা’ণ্ডের সঙ্গে জ’ড়িত আছে তাদের বি’রুদ্ধে সুনি’র্দিষ্ট তথ্য প্রমা’ণের ভিত্তি’তে তা’লিকা প্রণ’য়নের জন্য নির্দে’শ দিয়েছিলেন নির্বাচনের পরপরই।
তিনটি গো’য়েন্দা সং’স্থা এ ব্যাপারে কাজ করেছিল। সেখানে ৫ শতাধিক ব্যক্তির বি’রুদ্ধে সু’নির্দিষ্ট অ’ভিযোগ আনা হয়েছিল। যে সমস্ত অভি’যোগের মধ্যে অ’ন্তত শতাধিক অভি’যোগ ছিল দা’লিলিক অভি’যোগ। ত’থ্য প্রমাণ, সু’নির্দিষ্ট তথ্য উপা’ত্ত ছবি সং’গ্রহ করা হয়েছিল। সেগুলো প্রধানমন্ত্রী বরাবর হ’স্তান্তর করা হয়েছিল। এই যে শতাধিক ব্যক্তি, তাদের উপরই এখন বিদেশ যাওয়ার ব্যাপা’রে নিষে’ধাজ্ঞা জা’রি করা হয়েছে। তাদের দিকে ন’জর রা’খা হবে, তারা বিদেশে গেলে তাদের বি’রুদ্ধে যে ত’দন্ত হবে তা যেন ব্য’হত না হয়।
*সং’শ্লিষ্ট সূত্র’গুলো বলছে, মূলত ৫টি ক্ষেত্রের অভি’যোগ খ’তিয়ে দেখা হয়েছে: ১. অবৈ’ধ টেন্ডা’র বাণিজ্য। দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে টে’ন্ডারে প্র’ভাব বিস্তা’র করা। ২. সন্ত্রা’সের মাধ্যমে অন্যের জমি দ’খল করা। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁ’দা আ’দায়। ৩. মাদ’ক ব্যবহার, মা’দক ব্যবসা বা মাদ’কসেবীদের সঙ্গে যো’গসাজশ। ৪. জ’ঙ্গিদের সঙ্গে সম্পৃ’ক্ততা, সহা’য়তা প্র’দান বা প্রত্য’ক্ষ পরো’ক্ষভাবে জঙ্গি’দের মদ’দ দেয়া।৫. সংখ্যা’লঘুদের নির্যা’তন, সংখ্যাল’ঘুদের সম্পদ দ’খল, নিপী’ড়ন। ৬. নারী নি’র্যাতন, নারী নি’পীড়ন সহ নারী নিপী’ড়নকারীদের নানারকম স’হায়তা প্র’দান।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দে’শনা অনুযায়ী পাঁচ অপ’রাধের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা’কর্মী যারা জ’ড়িত তাদের তা’লিকা তৈরি করা হয়েছে। তবে একাধিক সূ’ত্র বলছে, আই’ন প্রয়ো’গকারী সং’স্থা এমনভাবে একটি পরি’স্থিতি তৈরি করতে পারে না যাতে আ’তঙ্ক তৈরি হয়। বরং ধাপে ধাপে যাদের বি’রুদ্ধে সুনি’র্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে এবং যারা সী’মা অ’তিক্রম করেছে তাদেরকেই এখন আই’নের আও’তায় আ’না হচ্ছে। কাউকে কাউকে সতর্ক’বার্তাও দেওয়া হচ্ছে। যেসমস্ত অন্যা’য় অপ’কর্ম তারা করে বে’ড়াচ্ছে সেসব থেকে স’রে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক’বার্তাও দেওয়া হচ্ছে। আইনপ্রয়ো’গকারী সং’স্থা বলছে যে, যেটা করা হচ্ছে সেটা একটা রু’টিন ওয়ার্ক।
আওয়ামী লীগের এই শু’দ্ধি অভি’যানের মাধ্যমে সরকার একটি বা’র্তা দিতে চায়। আই’ন তার নি’জস্ব গতি’তে চলবে। নির্বাচনী ইশ’তেহারে আওয়ামী লীগ যেটি অ’ঙ্গিকার করেছে, দুর্নী’তিকে তারা আ’শ্রয় প্র’শ্রয় দিবে না। দুর্নী’তিবাজ যেই হোক না কেন, তার বি’রুদ্ধে ব্যব’স্থা নিবে। তার ধারাবাহি’কতা হিসেবেই এই শু’দ্ধি অ’ভিযান চলছে। একাধিক সূত্র বলছে, এ ধরনের অ’ভিযোগের ফলে যেটি লা’ভ হবে, অন্যদের জন্য এটি একটি মে’সেজ হবে। এরফলে প্রশা’সনের উর্ধ’তন কর্ম’কর্তা আ’ইনপ্রয়োগকারী সং’স্থার কর্মক’র্তাসহ বিভিন্ন পর্যা’য়ে ক্রিয়া’শীল ব্যক্তি এবং গো’ষ্ঠী স্পষ্ট হবে, অ’নিয়ম, দুর্নী’তি বা অনৈ’তিক কর্ম’কাণ্ডের সঙ্গে জড়া’লে আ’ইনের আও’তায় তাকে আ’সতেই হবে। আওয়ামী লীগের নীতিনি’র্ধারকরা মনে করছে, যদি এই বোধ’টা সমাজে ছড়ি’য়ে দেওয়া যায়, তাহলে পরিস্থি’তির উন্ন’তি হতে বাধ্য।