বুধবার, ২ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তীর নেতৃত্বে রিক্সা শ্রমিকদের আমরণ অনশন শুরু, বিশিষ্ট জনদের সংহতি
ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তীর নেতৃত্বে রিক্সা শ্রমিকদের আমরণ অনশন শুরু, বিশিষ্ট জনদের সংহতি
পক্ষকাল সংবাদ ডেস্ক-
বিকল্প কর্মসংস্থান ছাড়া ব্যাটারিচালিত রিক্সা উচ্ছেদ বন্ধ, প্রয়োজনীয় নীতিমালার ভিত্তিতে নগরিতে ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলাচল এবং প্রশাসন কর্তৃক জব্দকৃত প্রায় ২ কোটি টাকা অর্থমূল্যের ব্যাটারি ও মটর রিক্সা শ্রমিকদের ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে বাসদের সদস্যসচিব রিক্সাশ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তীর নেতৃত্বে রিক্সা শ্রমিকেরা আজ সহ শ্রমিক ২ অক্টোবর বুধবার সকাল ১০.৩০ টা থেকে নগরির অশি^নীকুমার হলের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেছে।
সকাল ১০.৩০ টায় বাসদ কার্যালয় থেকে একটি মিছিল সদর রোড প্রদক্ষিণ করে অশি^নীকুমার হলের সামনে অনশন শুরু করে। অনশনের শুরুতে ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী রিক্সা শ্রমিকদের এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা এবং ধারাবাহিক আন্দোলনের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এরপর সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন বাসদ বরিশাল জেলার আহবায়ক ইমরান হাবীব রুমন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বরিশাল জেলার সভাপতি মিজানুর রহমান সেলিম, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ বরিশাল জেলার সাধারন সম্পাদক জলিলুর রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বরিশাল জেলার সাধারন সম্পাদক দুলাল মজুমদার, গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলার আহবায়ক দেওয়ান আব্দুর রশীদ নীলু, গণফোরাম বরিশাল জেলার সভাপতি এডভোকেট হিরণ কুমার দাস,বাংলাদেশ নৌযান ফেডারেশন বরিশাল জেলার সভাপতি শেখ আবুল হাশেম, বাংলাদেশ হোটেল রেস্তোরাঁ শ্রমিক ইউনিয়ন এর বরিশাল জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাবুল, দর্জি শ্রমিক ইউনিয়ন এর আহবায়ক তুষার সেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলার আহবায়ক নবীন আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল জেলার সাধারন সম্পাদক মোজাম্মেল হক সাগর, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বরিশাল জেলার সাধারন সম্পাদক রাহুল দাস, রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা বাবুল তালুকদার, মোঃ দেলোয়ার, মোঃ সোহেল, শ্রমিক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সহসভাপতি মহসিন মীর প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও রিক্সা শ্রমিকদরে সমস্যা সমাধানে কোন উদ্যোগ না নেয়াটা সত্যিই আশ্চর্যজনক। রিক্সা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান না করে উল্টো প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের ব্যাটারি মটর জব্দ করাটা অমানবিক এবং কোন সভ্য দেশে এরকম গরীব মানুষের পেটে লাথি মারার এমন নজির খুজে পাওয়া যায়না। তাই অবিলম্বে এই শ্রমিকদের জীবন রক্ষার্থে কার্যকর ভ’মিকা নেয়া দরকার।
ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত নিয়মনতান্ত্রিক আন্দোলন করে এসেছি। বারবার মেয়রের সাথে দেয়া করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তিনি আমাদের সাথে দেখা পর্যন্ত করেননি। পুলিশ প্রশাসনের সাথে দেখা করে সংকট সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেছি, কিন্তু কেউই কোন উদ্যোগ নেননি। এ অবস্থায় রিক্সা শ্রমিকদের আমরণ অনশন ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা ছিল না। এমনিতেই শ্রমিকেরা বাসাবাড়িতে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। সেই অনাহারে থাকাটা রাজপথে জসগণের সামনে হওয়াটাই ভালো।
ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী হুশিয়ারি দিয়ে বলেন এটা কোন প্রতীকি অনশন নয়, শ্রমিকদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমি এই শ্রমিকদের সাথে আমরণ অনশনে অংশ নিব এবং এ কর্মসূচিতে কোন ধরনের দূর্ঘটনা ঘটলে প্রশাসন এবং সিটি কর্পোরেশন দায়ি থাকবে।
নেতৃবৃন্দ শ্রমিকদের দাবি অবিলম্বে মেনে নিয়ে শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের জীবন রক্ষার আহ্বান জানান।