শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » প্রধানমন্ত্রীর সবুজ সংকেত - পাঁচ প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু
প্রধানমন্ত্রীর সবুজ সংকেত - পাঁচ প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু
পক্ষকাল সংবাদ ডেস্ক-
গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে আওয়ামী লীগে শু’দ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযানে আওয়ামী লীগের অনেক ডাকসাইটে নেতাই ধ’রাশায়ী হয়েছেন। অনেকে নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছেন। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সূত্র জানা গেছে, বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতা এখন দেশের বাইরে গা ঢা দিয়েছেন।
কিন্তু আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বলছে, যেখানে যেই গা ঢাকা দিক না কেন যারা দুর্নীতি-অনিয়ম করেছে তাদের সবাইকেই আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সেগুলো তদন্ত করে যদি সত্যতা পাওয়া যায়, তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রে জানা গেছে যে, আওয়ামী লীগের পাঁচজন প্রভাবশালী নেতা গোয়েন্দা সংস্থার নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। এই তদন্তে যদি তাদের অপকর্মের সত্যতা মেলে, তাহলে এদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে যে, এই পাঁচ নেতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন শুদ্ধি অভিযানের সঙ্গে জড়িত আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সবুজ সংকেত দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তারা হলেন-
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেলেন না যারা
ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর
ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা। তিনি ফার্মার্স ব্যাংকের একজন প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা। তার নেতৃত্বেই ফার্মার্স ব্যাংকে নানা রকম অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। ফার্মার্স ব্যাংক প্রায় দেউলিয়া হয়ে উঠেছিল। পরবর্তীতে এই ব্যাংকের নাম বদলে পদ্মা ব্যাংক করা হয়েছে। এখানে ব্যাপক ঋণ জা’লিয়াতি এবং নিয়ম বহির্ভুত লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে। সেই ব্যাপারগুলোতে ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীরের সম্পৃক্ততার কিছু প্রমাণ গো’য়েন্দাদের হাতে এসেছে। এগুলো নিয়ে এখন তদন্ত চলছে।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের এক সময়কার প্রভাবশালী নেতা। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি সমস্ত রাজনৈতিক তৎপরতা থেকে নিজেকে গু’টিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি রাজনীতিতে একরকম নির্বাসিত। তার বিরুদ্ধে দুই ধরণের অভিযোগ আছে। প্রথমত, ওয়ান ইলেভেনের সময় তিনি যে দু’র্নীতির মা’মলায় দ’ণ্ডিত হয়েছিলেন, সেই মওকুফের আদেশ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আইনের দৃষ্টিতে এই মামলাটি এখন চলমান। দ্বিতীয়ত, তিনি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় ত্রাণ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে অনেক অ’নিয়ম পাওয়া গেছে। সেই অনিয়মগুলোর বিষয়েও এখন তদন্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গনভবনে দেখা করতে যাওয়া শোভন-রাব্বানীর সঙ্গে তেমন কথা না বলে শুধু সালাম নিলেন প্রধানমন্ত্রী
শাজাহান খান
আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শাজাহান খান। শুধু আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে নন, পরিবহন খাতে তার প্রভাব সর্বজনবিদিত। এই শাজাহান খানও এখন নিবিড় পর্যবেক্ষনে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন রকম অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে পরিবহন শ্রমিকদের উস্কে দেওয়ার বিষয়ে বেশকিছু অভিযোগ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক
রাজধানীর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব গ্রে’প্তারের পর জাহাঙ্গীর কবির নানকের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ উঠছে। তার পৃষ্ঠপোষকতায় রাজীবের উত্থান ঘটেছিল বলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। রাজীব তার অ’বৈধ সম্পদের ভাগ জাহাঙ্গীর কবির নানককে দিতেন কিনা এ বিষয়টিও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বলছে যে, যারা নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন তারা প্রত্যেকেই যে অপরাধী এমনটা নয়। তাদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আছে। এই অভিযগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হব
গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে আওয়ামী লীগে শু’দ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযানে আওয়ামী লীগের অনেক ডাকসাইটে নেতাই ধ’রাশায়ী হয়েছেন। অনেকে নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছেন। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সূত্র জানা গেছে, বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতা এখন দেশের বাইরে গা ঢা দকিন্তু আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বলছে, যেখানে যেই গা ঢাকা দিক না কেন যারা দুর্নীতি-অনিয়ম করেছে তাদের সবাইকেই আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সেগুলো তদন্ত করে যদি সত্যতা পাওয়া যায়, তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রে জানা গেছে যে, আওয়ামী লীগের পাঁচজন প্রভাবশালী নেতা গোয়েন্দা সংস্থার নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। এই তদন্তে যদি তাদের অপকর্মের সত্যতা মেলে, তাহলে এদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে যে, এই পাঁচ নেতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন শুদ্ধি অভিযানের সঙ্গে জড়িত আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সবুজ সংকেত দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তারা হলেন-
ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর
ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা। তিনি ফার্মার্স ব্যাংকের একজন প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা। তার নেতৃত্বেই ফার্মার্স ব্যাংকে নানা রকম অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। ফার্মার্স ব্যাংক প্রায় দেউলিয়া হয়ে উঠেছিল। পরবর্তীতে এই ব্যাংকের নাম বদলে পদ্মা ব্যাংক করা হয়েছে। এখানে ব্যাপক ঋণ জা’লিয়াতি এবং নিয়ম বহির্ভুত লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে। সেই ব্যাপারগুলোতে ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীরের সম্পৃক্ততার কিছু প্রমাণ গো’য়েন্দাদের হাতে এসেছে। এগুলো নিয়ে এখন তদন্ত চলছে।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের এক সময়কার প্রভাবশালী নেতা। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি সমস্ত রাজনৈতিক তৎপরতা থেকে নিজেকে গু’টিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি রাজনীতিতে একরকম নির্বাসিত। তার বিরুদ্ধে দুই ধরণের অভিযোগ আছে। প্রথমত, ওয়ান ইলেভেনের সময় তিনি যে দু’র্নীতির মা’মলায় দ’ণ্ডিত হয়েছিলেন, সেই মওকুফের আদেশ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আইনের দৃষ্টিতে এই মামলাটি এখন চলমান। দ্বিতীয়ত, তিনি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় ত্রাণ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে অনেক অ’নিয়ম পাওয়া গেছে। সেই অনিয়মগুলোর বিষয়েও এখন তদন্ত হচ্ছে।
শাজাহান খান
আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শাজাহান খান। শুধু আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে নন, পরিবহন খাতে তার প্রভাব সর্বজনবিদিত। এই শাজাহান খানও এখন নিবিড় পর্যবেক্ষনে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন রকম অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে পরিবহন শ্রমিকদের উস্কে দেওয়ার বিষয়ে বেশকিছু অভিযোগ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক
রাজধানীর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব গ্রে’প্তারের পর জাহাঙ্গীর কবির নানকের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ উঠছে। তার পৃষ্ঠপোষকতায় রাজীবের উত্থান ঘটেছিল বলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। রাজীব তার অ’বৈধ সম্পদের ভাগ জাহাঙ্গীর কবির নানককে দিতেন কিনা এ বিষয়টিও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বলছে যে, যারা নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন তারা প্রত্যেকেই যে অপরাধী এমনটা নয়। তাদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আছে। এই অভিযগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।