মরে যাব হাসপাতালে তবু প্যারোলে মুক্তি নেব না: খালেদা জিয়া
পক্ষকাল ডেস্ক
‘যথাযথ চিকিৎসা না হওয়ায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি ঘটেছে। হাঁটা-চলা করতে পারেন না। প্যারালাইজড রোগীর মতো সারাক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকেন তিনি। হাত দিয়ে তিনি পানির গ্লাসটা পর্যন্ত ধরতে পারেন না। এমন অবস্থায় খালেদা জিয়া বলেছেন, প্রয়োজন হলে হাসপাতালে মারা যাব, তবুও প্যারোলে মুক্তি নেব না।’
শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সন্ধ্যায় দেশ রূপান্তরকে এসব কথা জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালেদা জিয়ার এক স্বজন।
বিকেলে সাড়ে তিনটায় বিএসএমএমইউ’র ৬১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি থাকা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান পরিবারের ৬ সদস্য। সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে চান তারা। কারণ হাসপাতালে তাকে কোন চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না।
সেলিমা ইসলামের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার ওই স্বজন বলেন, সেলিমা ইসলাম যা বলেছেন তা খালেদা জিয়া বলেননি। তবে তিনি জামিনে মুক্তি চান। জামিনে মুক্তি পেলে তার চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসা নেবেন। প্রয়োজনে হলে বিদেশে যাবেন। তবে তিনি প্যারোলে মুক্তি চান না। আমাদের বলেছেন, প্রয়োজনে হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেন, তবুও প্যারোলে মুক্তি চান না। ওয়ান-ইলেভেনের সময়েই উনি বিদেশে যাননি। এখন তো প্রশ্নই ওঠে না।
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওয়া স্বজনদের মধ্যে ছিলেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বোন শাহিনা খান জামান বিন্দু, শামীম ইস্কান্দারের ছেলে অভিক ইস্কান্দার ও অরিক ইস্কান্দার।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা দুই মামলায় ১০ ও ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া বর্তমানে বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসাধীন।