শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Daily Pokkhokal
শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ব্রেকিং নিউজ » অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল পেঁয়াজ!
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ব্রেকিং নিউজ » অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল পেঁয়াজ!
২৯৪ বার পঠিত
শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল পেঁয়াজ!

---


পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর সব রেকর্ড ভেঙ্গে গেল শনিবার (২৬ অক্টোবর)। সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে আবারও খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ দর ১৩০ টাকায় ঠেকেছে পেঁয়াজ।


শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি ও আমদানি করা দুই ধরনের পেঁয়াজের দামই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। সব ধরনের পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার উপরে। এর মধ্যে খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, যা গেল সপ্তাহে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।



এর আগের সপ্তাহে ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি। অপরদিকে মান ও আকার ভেদে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়, যা গেল সপ্তাহে ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা।


খুচরার পাশাপাশি পাইকারি বাজারেও দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। কারওয়ান বাজারের পাইকারিতে দেশি ও ভারতীয় দুই ধরনের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকার কাছাকাছি। আর মিসরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। যদিও আমদানি শুরুর পর দুই সপ্তাহ আগেও এ পেঁয়াজের দাম ছিল পাইকারিতে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে এ পেঁয়াজ দেশি বলেই বিক্রি হয়।


জানা গেছে, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে ভারত রপ্তানি মূল্য বাড়িয়ে দিলে পেঁয়াজের বাজারে সংকট শুরু হয়। ওই সময় ৫০ টাকার পেঁয়াজ এক লাফে ৮০ টাকায় পৌঁছায়।


অপর দিকে দুই সপ্তাহ পর ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলে এ দেশের বাজারে হু-হু করে বাড়তে থাকে দর। একদিনের ব্যবধানেই দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা এবং ভারতীয় পেয়াঁজ ১০০ টাকা কেজি ছাড়ায়। এ অবস্থায় পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক করতে ভারতের বিকল্প হিসেবে মিয়ানমার, মিসরসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়।


খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সেখানে কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না। মাঝে কয়েকদিন দাম কিছুটা কমার পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে।


বিক্রেতারা বলছেন, দেশের পেঁয়াজের মজুদ প্রায় শেষের পথে। সরবরাহ সংকটেই দাম আবার বেড়েছে। তাই নতুন পেঁয়াজ এলেই বাজার স্বাভাবিক হবে। দুই মাসের আগে বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজ ওঠছে না। তাই তার আগে দাম কমার সম্ভাবনা কম। তবে ভারতে ক্ষেতের পেঁয়াজ তোলা শুরু হয়েছে। দেশটি রপ্তানি শুরু করলে আবারও দাম কমবে।


পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আদা ও রসুনের দামও। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে খুচরায় দেশি ও আমদানি করা রসুন বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। এছাড়া মানভেদে আদা ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা হয়েছে। মুদি পণ্যের মধ্যে প্রতিকেজি লবণ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, খোলা আটা ২৮ থেকে ৩০, প্যাকেট ৩৪ থেকে ৩৫, খোলা ময়দা ৩৪ থেকে ৩৬, প্যাকেট ময়দা ৪৫ থেকে ৪৮, চিনি ৫৫ থেকে ৬০, ছোলা ৭৫ থেকে ৮০, বড় দানার মসুর ডাল ৬০ থেকে ৬৫, দেশি মসুর ডালের কেজি ১০০ থেকে ১১০, প্রতিলিটার খোলা পামওয়েল ৬২ থেকে ৬৫, খোলা সয়াবিন তেল ৮০ থেকে ৮২, কোম্পানিভেদে বোতলজাত সয়াবিনের লিটার ১০০ থেকে ১১০ এবং ৫ কেজির বোতল বিক্রি হয়েছে ৪৪০ থেকে ৫০০ টাকায়।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)